ঢাকা , বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ , ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
একটি দল সম্পর্কে লিখছেন না, সাংবাদিকদের মির্জা আব্বাস আবারও শাহরুখ-মাধুরী জুটিকে দেখতে চায় দর্শক! সমালোচনার জবাব দিলেন প্যারিস জ্যাকসন মারা গেলেন ব্রিটিশ তারকা সাইমন ফিশার ইন্ডাস্ট্রিকে থেকে তারা আমাকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল : গোবিন্দ ইফতারে যোগ দিয়ে তোপের মুখে বিজয় এবার ভারতীয় সিনেমায় দেখা যাবে হানিয়া আমিরকে ভারতের ফিল্মফেয়ারে মনোনীত হলেন বাংলাদেশি তিন তারকা ওমরাহ হজ পালন করতে মক্কায় বর্ষা উত্তোলন করা হলো তানজিন তিশার সহকারীর লাশ শ্রীপুরে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ, যুবক আটক অংশগ্রহণমূলক ভোটের পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করতে চায় যুক্তরাজ্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চেয়েছে ঐকমত্য কমিশন আসামিদের পক্ষে দাঁড়াবেন না আইনজীবীরা মধ্যরাতে আদালতে চার আসামি রিমান্ড মঞ্জুর পাচারকৃত টাকা ফেরাতে আগামী সপ্তাহে নতুন আইন -প্রেস সচিব সাবেক ৬৪ সচিবের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে যাচাই করবে সরকার চোখের পাতা নেড়েছে সেই শিশুটি নিরাপত্তায় কঠোর হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার করারোপের আগে বাজার প্রভাব বিশ্লেষণ চান ব্যবসায়ীরা

নিষিদ্ধ হচ্ছে আ’লীগ!

  • আপলোড সময় : ০৮-০২-২০২৫ ০৪:০৫:১০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০২-২০২৫ ০৪:০৫:১০ অপরাহ্ন
নিষিদ্ধ হচ্ছে আ’লীগ!
* দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আসছে -স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
* দল নিষিদ্ধ করে আসলে কোনো লাভ হয় না-আনু মুহাম্মদ,রাজনৈতিক বিশ্লেষক
* যে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে, তাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে- এ্যানি
ধারা ২০-এ রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, এই নিষিদ্ধ কী শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ অ্যাকটিভিটিসকে নিষিদ্ধ করবেন, নাকি আন্তর্জাতিক অঙ্গণেও নিষিদ্ধ করা হবে। কারণ হচ্ছে সারা পৃথিবীতেই রাজনৈতিক দলগুলোর কমিটি রয়েছে-আসিফ নজরুল

গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীণ অন্তর্বর্তী সরকার। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবার রাজনীতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তবে দল নিষিদ্ধ করা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্ন মত রয়েছে। বিএনপির মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতারা বলছেন, তারা রাজনৈতিক অধিকার হরণের পক্ষে নন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের দাবিÑআওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। সরকারের একটি অংশ দলটি নিষিদ্ধের পক্ষে।
বৈষম্যবিরোধী নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালিয়েছে। বিশ্বে এমন দলকে নিষিদ্ধ করার উদাহরণ রয়েছে। যেমন জার্মানির নাৎসি পার্টি, মুসোলিনির ফ্যাসিস্ট পার্টির রাজনীতি করার অধিকার নেই। এক্ষেত্রে সকল পক্ষের সম্মতি পাওয়া গেলে দলটিকে নিষিদ্ধের কথা ভাবা হবে।
 সম্প্রতি রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে  গণহত্যায় কোনো বাহিনী বা দলের সম্পৃক্ততায় গুম, খুন যৌন নির্যাতনকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা ও জড়িত রাজনৈতিক দলকে ১০ বছর নিষিদ্ধ করাসহ ৮টি সংশোধনীর প্রস্তাব করে আইন মন্ত্রণালয়। উপরোক্ত অভিযোগে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ। এই দলটিও ১০ বছর নিষিদ্ধ হতে পারে মত দেন অনেকে। ওই সভায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমকে সচল করার লক্ষ্যে প্রসিকিউশন ও ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করা হয়েছে। এখন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বোর্ডকে (ট্রাইব্যুনাল) পুনর্গঠন করা। আমরা এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের সংস্কার কার্যক্রম এখানেই থেমে থাকবে না। যারা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তাদের সবার মতামত নিয়ে এই আইন সংশোধন করা হবে। তিনি বলেন, ধারা ২০-এ রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, এই নিষিদ্ধ কি শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ অ্যাকটিভিটিসকে নিষিদ্ধ করবেন, নাকি আন্তর্জাতিক অঙ্গণেও নিষিদ্ধ করা হবে। কারণ হচ্ছে সারা পৃথিবীতেই রাজনৈতিক দলগুলোর কমিটি রয়েছে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার সহসাই কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি, সাধারণ মানুষ কিংবা রাজনৈতিক দল; যে বা যারাই হই না কেনো, আমরা এ দেশের জনগণকে ‘রিপ্রেজেন্ট’ করি। ফলে, গত ৫ আগস্টের পরে জনগণের যে আকাক্সক্ষা ও চাওয়ার জায়গা আছে, সেগুলোকে প্রাধান্য দেয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। সে জায়গা থেকে বিএনপি’র পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, আমি বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাতে চাই। তিনি বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াও চারটি আইন রয়েছে, যেখানে সরকার নির্বাহী আদেশে যে কোনো দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে, এটার লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কটা (আইনি কাঠামো) কী হবে, এ বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তিনি বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জুলাই আগস্টের গণহত্যার সঙ্গে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে দলীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা, নিবন্ধন বাতিল করাসহ যে কোনো ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করতে পারে। তবে বিষয়টি যেহেতু আইনের বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত, সেক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসবে। তিনি আরও বলেন, আমি আশ্বস্ত করতে চাই, বাংলাদেশের জনগণের চাওয়া প্রতিফলন ঘটাতে সরকার এ ব্যাপারে দ্রুতই পদক্ষেপ নেবে।
তবে গত ১৯ জানুয়ারি সকালে রাজধানীতে কৃষি সাংবাদিকতা বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা এই সরকারের নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে যাদের হাতে রক্ত আছে, তাদের সবার বিচার হবে। দলটির নেতাদের মধ্যে এখনো কোনো অনুশোচনা নাই। তাদের নিষিদ্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো।
এর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার আদেশ চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। যদিও তারা বলেছিলেন, তারা দু’টো রিট আবেদন করেছেন আওয়ামী লীগের বিগত তিনটি নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণার আর্জি জানিয়ে। সেখানে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়নি, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলটিকে ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার’ কথা বলা হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে ‘নির্বিচারে হত্যার’ অভিযোগে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল এবং ক্ষমতাচ্যুত দলটির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত আগস্ট মাসে একটি রিট আবেদন করা হয়েছিল। ‘সারডা সোসাইটি’ নামের একটি মানবাধিকার সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক আরিফুর ওই আবেদন করেছিলেন। গত এক সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাই কোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ সেটি খারিজ করে দেয়। ওই সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শুনানিতে বলেছিলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নেই রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের। সংবিধানে রাজনৈতিক দল পরিচালনার যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তা খর্ব করবে না সরকার। বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের অনেক অন্যায়-অবিচারের শিকার হয়েছে মানুষ। অনেক গুম-খুন হয়েছে। সেগুলোর বিচারের জন্য আইন ও আদালত রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের অনেক ভালো নেতাকর্মীও রয়েছেন, তারা দলের মতাদর্শ ধারণ করেন। এজন্য দল নিষিদ্ধ করার সুযোগ নেই। তাদের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করার ইচ্ছা এ সরকারের নেই।
জানা গেছে, ’৭৫ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী রাজনীতিক দল আওয়ামী লীগ। দলটি মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। তবে টানা ১৫ বছরে ক্ষমতায় থাকা দলটির বিরুদ্ধে গুম-খুন ও ভোটাধিকার হরণের অভিযোগ রয়েছে। সবশেষ কোটা বিরোধী আন্দোলন দমনে গণহত্যার অভিযোগও উঠেছে দলটির বিরুদ্ধে। গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কোনো খোঁজ-খবর কিংবা হদিস নেই। এছাড়া দলটির শীর্ষ নেতাদের বেশিরভাগই পলাতক রয়েছেন। আবার গণহত্যার অভিযোগে কেউ কেউ জেলে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ফেসবুকের ভেরিফাইড পেজে সক্রিয় রয়েছে দলটি। বিচ্ছিন্নভাবে কেউ কেউ পোস্ট দিচ্ছেন। এরইমধ্যে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে বিচার শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অপরাধগুলো জনগণের সামনে ও বিচারের আওতায় আনা উচিৎ। দল নিষিদ্ধ করলেও রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ হয় না। ফলে দল নিষিদ্ধ করে আসলে কোনো লাভ হয় না।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো একই ভাষায় রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বললে তা বুমেরাং হবে। অন্তর্বর্তী সরকার সেই একই পথে হাটলে তাহলে ফলাফল একই রকম হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত দলটির দোষীদের বিচার নিশ্চিত করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।’ তিনি বলেন, প্রথমত এটা অত্যন্ত ইতিবাচক যে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এক ধরনের ‘ঐকমত্য’ তৈরি হচ্ছে। দেশের মানুষ তৎকালীন ক্ষমতাসীন ওই দলের অগণতান্ত্রিক এবং একগুঁয়েমি মনোভাব ও কার্যকলাপ মেনে নিতে পারেনি বলে-ই গত ৫ আগস্টের আগে ও পরে তাদের মধ্যে দলটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ‘ঐকমত্য’ প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন ঐকমত্য তৈরি হলে সরকারের জন্য যে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সহজ হবে। গতকাল শুক্রবার একটি সংবাদ সংস্থাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে, তাতে হাসিনা নিষিদ্ধ হয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগও নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। আমরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ছিলাম, জেল খেটেছি। সুতরাং সবাইকে নিয়ে আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য এই প্রজন্ম ও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়া। এই ওয়াদা নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। গত বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর পৌর শহীদ স্মৃতি একাডেমির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শহীদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর অনেকে-ই বলেছেন আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেবেন। ক্ষমা করার কোনো সুযোগ নেই। অনেকেই বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয় না কেন, একটা দলকে হুট করে নিষিদ্ধ করা যায় না। যদি বিচার হয়, এমনিতে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। সংসদে বসে জনগণের সমর্থন নিয়ে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে নিষিদ্ধ করা আমাদেরও দাবি। আমরা শুধু বিএনপির জন্য, বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য আন্দোলন করিনি। জনগণের জন্য, দেশের জন্য, শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করেছি।’

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স